বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
বরিশালের বাকেরগঞ্জে আনন্দ ও উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। তবে দূর্গাপাশা ইউনিয়নে স্থায়ী কোন স্কুল না থাকায় ফাঁকা মাঠে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) দূর্গাপাশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে এ চিত্রটি ধরা পড়ে সাংবাদিক আব্দুর রহমানের ক্যামেরায়।
অনেকটা বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেলের মতো ভোট কেন্দ্র হওয়ায় এ নিয়ে ভোটার ও স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়েই ভোট গ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক আহম্মেদ হাওলাদার।
সরেজমিনে বাকেরগঞ্জের দূর্গাপাশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লোকজন দলবেধে কাদামাটি পেড়িয়ে প্যান্ডেলের দিকে যাচ্ছে। কাছে গিয়ে জানা গেল এটা কোন বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল নয়, এটা একটি ভোট কেন্দ্র। কথা হয় সেখানে ভোট দিতে আসা ষাটোর্ধ্ব রেনু বেগমের সাথে। নিজেদের জমিতে ফাঁকা জায়গায় ভোট দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। আরেক ভোটার আনিস বলেন, এরকম খোলা মাঠের মধ্যে নিরিবিলি পরিবেশে ভোট দিতে পেরে শুধু তিনিই নন, গ্রামবাসী আনন্দিত। ওই গ্রামের প্রবীন বাসিন্দা মোঃ ইউনুস জানান, ৪নং ওয়ার্ডে থাকা একমাত্র প্রাইমারি স্কুলটি ৮/৯ বছর পূর্বে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
এরপর পার্শ্ববর্তী ৫নং ওয়ার্ডে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও ৪নং ওয়ার্ডে কোন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভোটের জন্য ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে ভোট দিতে আগ্রহী না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় তোফাজ্জেল মিয়ার বাড়ির খোলা মাঠে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে মাঠের মধ্যে কাদা থাকায় বৃদ্ধ মানুষের কিছুটা কস্ট হচ্ছে।
মোরগ মার্কা নিয়ে মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নাজমুন নাহার নাজমা বলেন, খোলা মাঠের মধ্যে ভোট কেন্দ্র হওয়ায় অন্যরকম আমেজে সবাই ভোট দিচ্ছেন। বই প্রতীক নিয়ে সংরক্ষিত পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোসাঃ পারুল বেগম বলেন, ফাঁকা মাঠের মধ্যে ভোট কেন্দ্র হওয়ায় এখানে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ভোট কেন্দ্রে সহজেই নিরাপত্তা দিতে পারছেন।
দূর্গাপাশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক আহম্মেদ হাওলাদার জানান, এখানে কোন স্কুল না থাকায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র স্থাপন করে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন ধরণের নিরাপত্তা ঘাটতি নেই। ভোটাররা আনন্দের সাথেই ভোট দিচ্ছেন বলেন তিনি।